পঞ্চগড় প্রতিবেদক :
গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সড়ক দূর্ঘটনায় আহত নুরুজ্জামান নিশান ২৯এপ্রিল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায।সে পঞ্চগড় বিষ্ণু প্রসাদ (বি পি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার অষ্টম শ্রেণি’র শিক্ষার্থী ছিলো।।নিশান ছোটকালেই বাবা আলমকে হারিয়ে এতিম হয়।ওর আরেক বোন আয়েশা সিদ্দিকা অনন্যা পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে,অনন্যার পরীক্ষা আগের দিন তার ভাই মারা যায়।মা নুরিনা সোলতানা স্বামী মারা যাবার পর অন্যের বাড়ি ঝি এর কাজ করে সংসার চালাতেন।বর্তমানে সে নানাবিধ শারিরীক রোগে ভূগছেন ।নিহত নিশানের পরিবারের দুরাবস্থার কথা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম বিভিন্নভাবে পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন।পরে তিনি জনৈক এক সাংবাদিকের মাধ্যমে বিধবা,সদ্য সন্তানহারা অসহায় ও অসুস্থ নুরিনা সোলতানাকে তাঁর অফিসে ৩এপ্রিল বুধবার ঢেকে আনেন। নুরিনার বর্তমান অবস্থা জানার পর তাঁকে চিকিৎসা করা,
চিকিৎসা শেষে সরকারি ভাবে সেলাই কাজ শিখানোর পর তাঁকে তাকে একটি সেলাই মেশিন দেয়া, মেধাবী মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা এসএসসি পাশ করার পর তার শিক্ষা জীবনের ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, জনবান্ধব ও মানবিক এই প্রশাসক।উল্লেখ, নুরিনা সোলতানার স্কুল পড়ুয়া ছেলে নুরুজ্জামান নিশান গত ২২এপ্রিল বাইক দূর্ঘটনায় মারত্মক আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯তারিখ দুপুরে মারা যায়।সে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের জগদল এলাকার মৃত আলমের ছেলে।
এবিষয়ে নুরিনা সোলতানা বলেন,” পাঁচ বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়, তার মৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালাচ্ছিলাম,আমার নিহত পুত্র নিশানই আমার শেষকালের সম্বল ছিলো।স্বামী ও সন্তান হারিয়ে আমি দিশাহারে , পঞ্চগড় ডিসি আমাকে যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে আমার আর কোন চিন্তা থাকলো না,থাকলো শুধু সন্তান হারানোর জ্বালা।” এবিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন,”আমি যা করছি,তা মানবিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাজ,আমি শুধু তাঁর প্রতিনিধি মাত্র।জেলার যে কোন অসহায় মানুষের সেবা দেওয়াই আমার নৈতিক দায়িত্ব,যত আছি তত সেবা দেবো। “
Leave a Reply