পঞ্চগড় প্রতিনিধি:পঞ্চগড় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এঁর ১৬২তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘটেছে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীতের সুরোধ্বনি ও নূপূরের ঝংকারে।এর আগে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনায় সভায় বিশ্বকবিকে নিয়ে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল কাদের।উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচন করেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ মো.শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রাকিবুল হাসান। আলোচকদের আলোচনায় উঠে এসেছে,’পঁচিশে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখে কবিগুরু কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাবা মায়ের ১৪ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষদের বসবাস ছিলো খুলনার পীঠাভোগ গ্রামে। জীবিকার উদ্দেশ্যে তাঁর তিন পুরুষ আগে কোলকাতায় গিয়ে আস্তানা গাড়েন। তখন থেকে তাঁরা ঠাকুর নামে পরিচিতি পান বিশেষ জীবনযাপন ও শারীরিক সৌকর্যের কারণে।
পূর্ববঙ্গে তাদের জমিদারি ছিল। কিন্তু ভারত বিভক্তি এবং ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে রবীন্দ্রনাথ ভারতের বসতি হন। তবে বাংলা সাহিত্যে তাঁর বিশাল অবদানের জন্য তিনি উভয় বাংলার বাঙালির মননে অক্ষয় স্হান করে নেন। পৃথিবীর সর্বকালের সেরা কবিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ কবিশ্রেষ্ঠ।মনুষ্যত্বের সাধক কবি একাধারে চিন্তাবিদ ও দার্শনিক,তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলা সাহিত্য জগতের দিকপাল। তাঁরই লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমাদের অমর অনুপ্রেরণার বহমান সুরোধ্বনি।’
Leave a Reply