গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দিন ব্যাপী লাকসামের বিভিন্ন লোকেশানে আজিজ টিপু রচিত শাহজাহান শোভন পরিচালিত প্রীতি উপহার নাটকের শুটিং সম্পন্ন হলো।

নাটকটির শিল্পী কলাকুশলীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে ডিওপি হিসেবে কাজ করেন এবি সিদ্দিক। নাটকে লাকসামের সুনামধন্য থিয়েটার লাকসাম নাট্যজংশনের দলপ্রধান জিএমএস রুবেলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সংগঠনের একঝাঁক নাট্যকর্মী অংশ নিতে দেখা যায়।

প্রীতি উপহার নাটকের পরিচালক কৃষ্টি বাংলাকে বলেন, সুস্থ ধারার বিনোদন দিয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করে যাচ্ছে শুদ্ধিছায়া ক্রিয়েটিভ টিমের সদস্যরা। তারই অংশ হিসেবে লাকসামের থিয়েটার কর্মীদের তৃতীয় আয়োজনে সাড়া দিলাম। তিনি আরও বলেন, একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছি যেন নতুন কিছু শিল্পী উপহার দেওয়া সম্ভব হয়। আশাকরি আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।

নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন কুমিল্লার থিয়েটার জগতের নিয়মিত মুখ সফল সংগঠক জি.এম.এস রুবেল। তিনি বলেন, আমি থিয়েটারে দুই যুগ কাজ করলেও মিডিয়ায় নতুন। আমাদের মতো নতুনদের নিয়ে কাজ করতে অনেকে সাচ্ছন্দ্য বোধ না করলেও এই ক্ষেত্রে শাহজাহান শোভন ব্যতিক্রম। তিনি আমাদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন এবং একই সাথে আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন। আশাকরি প্রীতি উপহার নাটকের পর অনেকেই আমাদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে উৎসাহ পাবেন।

রম্য রসে ভরপুর প্রীতি উপহার নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় ভুলইন বাজার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও লাকসাম নাট্যজংশনের সাংগঠনিক তত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হোসেন পেয়ার, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার আব্দুল মতিন, সোনালী ব্যাংকের ম্যানাজার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আমিনা আখতার। ঢাকা থেকে অংশ নেন তানভীর হাসান, কুমিল্লা প্রতিবিম্ব থিয়েটারের পুজা দে ছাড়াও লাকসাম নাট্যজংশনের কর্মীদের মধ্যে শাহিন খন্দকার, অঞ্জন, মহিউদ্দিন মিয়াজি, ইমাদ বিন মাহবুব, ওমর আল আরাফ ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে লাকসামের মিলন, মিঠুন লেকসন, আশরাফুল, নাজমুল ইসলাম ছোটন ও নরপাটি গ্রামবাসী নাটকটিতে অংশ নেয়।

নাটকের শুটিং হয় নরপাটিস্থ তাজ ওয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী, তাজুল ইসলাম এর বাড়ী, তাজ ওয়েল মিল, লোকমান হোটেল, আমতলী বাজার, জোড় খেজুরগাছ তল, ডাঃ আব্দুল মতিন এর বাসা, লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেসার বাড়ি, নবাব ফয়েজুন্নেসা সরকারি কলেজের রাস্তা, নদি বাংলা ভূইয়া টাওয়ার, মোবাইল পয়েন্ট, পরাণ শাড়ি ঘর এন্ড বেবি কেয়ার, খুন্তা ব্রিজ, ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন মিশ্রী পশ্চিম পাড়া, পশ্চিম গা ডাকাতিয়া নদীর পাড় ইত্যাদি জায়গায়। শুটিং চলাকালে এলাকায় ব্যপক আলোচনা তৈরি হয় এবং সবাই নাটকটির সার্বিক সফলতা কামনা করে।